
আওয়ামী লীগের দুই চেয়ারম্যান গ্রুপের বিরোধকে কেন্দ্র করে মুন্সীগঞ্জে প্রতিপক্ষের এলোপাথারি পিটানোর কারনে তুহিন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে টঙ্গীবাড়ী উপজেলাধীন পুরা বাজার এলাকায় এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকার ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিহত তুহিন, সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আলমগীর সরকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারী ও সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার কর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। সর্বশেষ ২৪শে জানুয়ারি কল্পনার পক্ষে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি জিয়া সরদারকে( ৪৫ ) তুলে নিয়ে কুপিয়ে এবং গুলি করে আহত করার অভিযোগ ওঠে রিপন হোসেন পাটোয়ারীর ছোট ভাই শিপন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে ওই ঘটনার জেরে তুহিনকে হত্যা করা হয় ।নিহত তুহিন রিপন পাটোয়ারীর সমর্থক ছিলেন।
সোমবার কল্পনার পক্ষের লোকজন তুহিনকে পুড়া বাজার এলাকা থেকে তুলে একটি পরিত্যক্ত জায়গায় নিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যান। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থা গুরুতর দেখে চিকিৎসক তাকে ঢাকায় রেফার্ড করেন।
সরেজমিন প্রতিনিধি , বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুহিন আমার দলের সমর্থক ছিলো। এ কারণেই সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনার পক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করে।আমরা এর উপযুক্ত বিচার চাই।
এদিকে এসব অভিযোগের বিষয়ে নিজের লোকজনের জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে সাবেক চেয়ারম্যান মহসিনা হক কল্পনা বলেন, ওই যুবক উগ্র ছিল। সে অস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতো। কংশপুরা এলাকার কিছু ছেলে তাকে পিটিয়েছে। ছেলেটির মাথায় আঘাত ছিল। সেই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। সে গত নির্বাচনে রিপনের নির্বাচন করেছে। কিন্তু একটা ছেলে মারা যাক এটা আমি চাই না। আমার লোক জড়িত ছিল না। যারা জড়িত তাদের বিচার হোক।
টঙ্গীবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজিব খান, এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। নিহত তুহিনের বাবা অভিযোগ দায়ের করেন এখনো মামলার নাম্বার পরেনি বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। পিটানোর কারণে যুবকের মৃত্যুর কথাটি শুনেছি। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত ও মামলার ভিত্তিতে জড়িতদের বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।