তোমরা যাকে মৃত্যু বলো
আমি তাকে বলি অনন্ত প্রস্থান,
পার্থিবলোক ছেড়ে দিব্যলোকে পদার্পণই মহাপ্রস্থান
দেহ নশ্বর অথচ কীর্তি সতত অম্লান।
কাল বড্ড নিষ্ঠুর, চলতে থাকে অবিরত,
কারো অনন্ত প্রস্থানে কাল করে না কিঞ্চিৎ শির নত।
তারই ফাঁকে ফাঁকে কিছু পাখি এসে বাসা বাঁধে
অরুণ রাঙা হৃদপিণ্ডের ঠিক বাম দিকে,
প্রথমদিকে খুব মনোযোগ দিয়ে বাসা বাঁধে পাখি
হলদেটে রঙিন খড়কুটো এনে এনে
কিছুকাল পরেই বাসাটা হয়ে যায় বিবর্ণ আর ফিকে।
পাখি তখন বাসা বাঁধার জন্য নতুন স্থান খুঁজতে থাকে,
অথচ হৃৎপিণ্ডের বাম দিকটা, পুরনো বিবর্ণ বাসাটা
তখনও পাখিকে হাত বাড়িয়ে ডাকে।
এক নিমেষ দাঁড়াবার অভিলাষ নেই পাখির,
তখনই হৃৎপিণ্ড জোরে জোরে কম্পিত হয়
অঝোর ধারায় বর্ষা নামে আঁখির।
সহস্র ডাকেও পাখি আসে না আর ফিরে
পাখি এখন মহাসুখে গান ধরেছে, নতুন কোনো নীড়ে।
ভেসে যাওয়া কাল মৃত্যুর ভেলায় চড়ে অসীমে যায়,
বৈঠা বেয়ে অবিরত কান্না ঝরে পড়ে মাঝদরিয়ায়।
তখনই নিজ দেহ থেকে অদৃশ্য কেউ বলে ওঠে
তুমি পাখির কাছে আর কিচ্ছু চেও না
শূন্য থেকে মহাশূন্যে অনন্ত প্রস্থান করবে যে-ই,
না তুমি, না আমি, না সে, দেখবে কেউ আর নেই।
স্বার্থ ফুরিয়ে গেলে কে বলো কার?
আমি নীলাম্বরী, চেয়ে দেখি সব ছারখার।
হৃৎপিণ্ড পাখির জন্য থাকে অনন্য অপেক্ষায়,
অথচ পাখি দেখে না ফিরে, এভাবেই চলতে থাকে
হঠাৎ পদার্পণ করতে হয় মহাযাত্রায়।
তখন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি উড়ে এসে
নির্জীব দেহে চুমু খায় ভালোবেসে,
তখন আমার অশরীরী আত্মা হেসে বলে
কি লাভ ভ্রান্তির পর এতো দেরিতে উন্মেষে?
কালের পরিক্রমায় আবার ভুলে যায় সব পাখি,
ভুলে যায় ধীরে ধীরে পরিজন-সখা-সখী।
মহাসমারোহে অনন্ত প্রস্থানের মধ্য দিয়ে
অবসান ঘটে সুদীর্ঘ পথ চলার,
কিন্তু এই তৃষ্ণার্ত হৃদয় আর তৃষাতুর আঁখি
ক্রন্দিত সুরে চিৎকার করে বলে
আজও অনেক কিছুই অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে
ইচ্ছে ছিলো আরও কিছু বলার!
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
01868974512
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com , thana.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital