করোনার লন্ডন ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশে এই নতুন ধরনের করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। হু হু করে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। হাসপাতালে কোনো বেড খালি নেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, কোনো হাসপাতালে একটি বেডও বসানোর জায়গা নেই। সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁবু টাঙিয়ে চিকিত্সা সেবা দেওয়ার মাধ্যমে মানুষকে বাঁচানোর চিন্তা-ভাবনা করছে। বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা বলেন, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে সবার স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, মানাতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন চালু করার বিষয়টি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত বলেও বিশেষজ্ঞরা অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, বর্তমানে করোনার এই ভয়াবহ রূপ ধারণের জন্য আমরা নিজেরই দায়ী।
নিজেদের গাফিলতি ছিল। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বশীল বিভাগসমূহ গাফিলতির পাশাপাশি দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী চিকিত্সা সেবার সক্ষমতা সেভাবে সম্প্রসারণ হয়নি। এখন স্বাস্থ্যবিধি মানার মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকাতে না পারলে সামনে যেখানে সেখানে মৃতদেহ পড়ে থাকবে। এদিকে করোনার নতুন ধরন আক্রান্ত রোগীর দ্রুত ফুসফুস সংক্রমিত করছে। প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন। কিন্তু হাসপাতালে পাওয়া যাচ্ছে না অক্সিজেন। চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেনের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। রোগী ও তাদের স্বজনরা অক্সিজেনের জন্য এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছোটাছুটি করেও পাচ্ছে না অক্সিজেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিত্সক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, করোনা যেহেতু ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে, তাই সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। ২০ কোটি মানুষের জীবন রক্ষার স্বার্থে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে বাধ্য করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানবেন না, বিক্ষোভ করবেন, এটা হতে পারে না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রয়োজনে কঠোর ব্যবস্থার মধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া কোনো উপায় নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণে সবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে করোনার ৪৬ লাখ টিকা মজুত আছে। এগুলো শেষ হওয়ার আগেই টিকার আরেক চালান দেশে চলে আসবে।
মুগদা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর বলেন, করোনার বৃদ্ধির মধ্যে গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী। এখন সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালে সিট খালি নেই। শিগিগরই হাসপাতালগুলোতে তাঁবু টাঙাতে হবে। বিনা চিকিত্সায় রোগীরা মারা যাবে, এটা একজন চিকিত্সক হিসেবে মেনে নিতে পারি না।
আইইডিসিআরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে। অন্য কোনো গল্প-কাহিনি করে লাভ হবে না। সচেতনতার মাধ্যমে যার যার জীবন তাকেই রক্ষা করতে হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যাবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
01868974512
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com , thana.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital