গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত অনলাইন নিবন্ধন নাম্বার ৬৮
ফেনী প্রতিনিধিঃ ফেনী ন্যাশনাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মোহাম্মদ শোয়েব বাবু (১৯) এর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে ফেনী মডেল থানা পুলিশ। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শোয়েবের লাশ উদ্ধার করার পূর্বে গলায় গামছা পেছিয়ে ফ্যানের সাথে ঝুলতে দেখা যায়। পারিবারিক সূত্র জানায়, শোয়েব কুমিল্লার লাঙ্গল কোট উপজেলার দালুয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী পিতা মোহাম্মদ হানিফ ও মাতা হাফেজা বেগম এর একমাত্র পুত্র সন্তান। শোয়েব দীর্ঘ ৭ বছর ধরে ফেনী নাজির রোড়স্থ অপরাজিতা ভবন ২ এর ৫ম তলায় খালার বাসায় থাকতেন। খালার বাসায় থেকে স্কুল জীবন পার করে কলেজে পড়ালেখা করছেন। পড়ালেখার পাশাপাশি ফেনীর এফ রহমান এসি মার্কেটের একটি দোকান মেগা মাঠ এ চাকরি করতো। কিছুদিন পূর্বে ঐ দোকানের মালিক থেকে অসুস্থতার কথা বলে ১ সপ্তাহের জন্য ছুটি নেন। ছুটি নিয়ে খালার বাসায় ফিরে আসেন শোয়েব। ফেনীর বাসা থেকে শোয়েবের খালা কামরুল নাহার হিরা, খালু হারুন অর রশিদ ও শোয়েবের খালাতো ভাই হামজা মঙ্গলবার সকালে সাড়ে ১১ টায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এ দিকে শোয়েবের পিতা মোহাম্মদ হানিফ সরেজমিন বার্তা’র প্রতিনিধিকে জানান, কয়েকদিন ধরে ছেলেকে মোবাইল কল দিলেও কল না ধরায় বুধবার সন্ধায় তাকে দেখতে আসেন ফেনীতে। একই সাথে ঐ দিন সন্ধা সাড়ে ৭ টায় শোয়েবের খালা-খালুরাও আত্মীয়ের বাড়ি বেড়ানো থেকে ফেনীর বাসায় ফিরে আসেন। এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে আটকানো। বাসায় আর কেউ ছিল না বলে দাবী স্বজনদের। দারোয়ানের সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেন স্বজনরা। ঘরে ঢুকে দেখেন শোয়েবের নিথর দেহ ঝুলছে। অন্যদিকে শোয়েবের খালা কামরুল নাহার হিরা অন্য রুমে বেহুশ হয়ে শুয়ে আছে। তার কাছ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় নাই। ফেনী পৌরসভার কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম তানজিম সরেজমিন বার্তা প্রতিবেদককে জানান, ঝুলন্ত শোয়েবের পা দুটো খাটের ওপর বিছানায় লাগানো ছিল। পাশে চেয়ার অক্ষত অবস্থায়। এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যাকান্ড তা রহস্যজনক বলে মন্তব্য করেন এবং এর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবী জানান। কিন্তু শোয়েবের কাকা কামাল মেম্বার সরেজমিন বার্তা’র প্রতিনিধিকে জানান, শোয়েবের পিতা নিজেরই ঘরের ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকতে দেখেন। দারোয়ান দিয়ে দরজা ভেঙ্গে পিতা মোঃ হানিফ ঘরে প্রবেশ করেন। ছেলেকে ঝুলন্ত অবস্থায় পেয়েছেন। এই থেকে ধারনা করা যায় যায় যে, শোয়েব আত্মহত্যাই করেছে। কিন্তু কি কারনে সে আত্মহত্যা করতে পারে, তা তিনি জানেন না। তারেক মনোয়ার নামে শোয়ের এক সহপাঠি জানান, কাসমিরি নামের এক মেয়ের ইমো আইডিতে শোয়েব চ্যাট করতো। মেয়েটির সাথে শোয়েব প্রেম করত। কিন্তু সম্প্রতি কোন কিছুই সে আমাদেরকে বলতো না। তার ফেসবুক আইডি ছিল। সেই আইডির নামও ছিল মোহাম্মদ শোয়েব। কিন্তু এ আইডিটিও এখন ইনেকটিভ দেখতেছি। ধারনা করা হচ্ছে ফেসবুক ইনেকটিভ করেই আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু কেন এই আত্মহত্যা ? তা অজানাই রয়ে গেল। স্থানীয়রা জানান, অসুস্থ শোয়েবকে বাসায় একা রেখে খালা খালুরা বেড়াতে গেলেন। শোয়েবকেও বেড়াতে নেওয়া উচিত ছিল। তাছাড়া তার মা থাকে কুমিল্লা বাবা থাকে কুয়েত। আবার ছেলে একটি দোকানের পিয়নের চাকরি করছিল। সেখান থেকে অসুস্থতার কারনে ছুটি নিয়ে বাসায় অবস্থান করছিল। শোয়েব হয়তোবা মানসিক যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতেই আত্মহত্যা করতে পারে। পিবিআই ফেনীর হায়দার আলী সরেজমিন বার্তা’কে জানান, গণমাধ্যম কর্মী ও ফেনী মডেল থানার পুলিশ সদস্যসহ একটি তদন্ত টিম আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। যেহেতু নাইট গার্ড দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকেছে। আমরা সবাই দেখলাম শোয়েবের গলায় গামছা পেছানো অবস্থায় ঝুলছে। সুতারাং আমাদের প্রাথমিক তদন্তে এটি আত্মহত্যা বলে অধিকতর মনে হয়েছে। তবে অন্য কোন কারনে মৃত্যু হয়েছে কিনা তা ডিজিটাল পদ্ধতিতে অধিকতর তদন্ত করে ফাইনাল ফলাফল পরে জানাবো।
সম্পাদক ও প্রকাশক
মোহাম্মদ বেলাল হোছাইন ভূঁইয়া
01731 80 80 79
01798 62 56 66
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
আল মামুন
প্রধান কার্যালয় : লেভেল# ৮বি, ফরচুন শপিং মল, মৌচাক, মালিবাগ, ঢাকা - ১২১৯ | ই-মেইল: news.sorejomin@gmail.com
©copyright 2013 All Rights Reserved By সরেজমিনবার্তা
Family LAB Hospital